নিউজইশপ রিপোর্ট: আট মাসের ট্রায়াল শেষে অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে বাণিজ্যিক সেবা শুরু করল নতুন অনলাইন শপ ডেলিগ্রাম।
ডেলিগ্রাম বলছে, গুনগত সেবা দিয়ে গ্রাহকদেরকে পরিপূর্ণ মাত্রায় সন্তুষ্ঠি দেওয়াই তাদের লক্ষ্য। আর এ জন্যে পন্য সরবরাহ পদ্ধতিতে বড় রকমের পরিবর্তণ করেছেন তারা। একই সঙ্গে দেশের ছোট বড় মিলিয়ে দুইশ ব্র্যান্ডের সঙ্গেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তারা।
বলা হচ্ছে, পন্য কেনার পরেও সে বিষয়ে কোনো রকম আপত্তি থাকলে গ্রাহকদেরকে পন্যটি বদলে দেওয়ার সুবিধাও রেখেছে ডেলিগ্রাম।
তাদের পদ্ধতি অনুসারে পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানদার ডেলিগ্রামের এজেন্ট হিসেবে কাজ করবে। এক্ষেত্রে যাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা নেই বা অনলাইন শপিংয়ে আগ্রহ থাকলেও অর্ডার করার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী নন, তারা ওই দোকান থেকে ডেলিগ্রামে পণ্যের অর্ডার করতে পারবেন।
এজন্যে ওই দোকানগুলোতে একটি করে ট্যাবলেট এবং ১৫ হাজার পন্যের তালিকাসহ প্রিন্টেড ক্যাটালগও দিয়েছে ডেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষ।
একইভাবে অনেক সময় বাসা-বাড়িতে পন্যের অর্ডার গ্রহনের ক্ষেত্রে ডেলিভারিম্যানের সঙ্গে সময় মেলানো বা ডেলিভারিম্যানকে ঠিকানা বোঝানোও এক ঝক্কির ব্যপার। এই সমস্যা থেকে বাঁচাতে গলির দোকানটি থেকে পন্য বুঝে নিতে পারবেন ক্রেতা। এক্ষেত্রে ডেলিভারির জন্যে কোনা চার্জ নেবে না ডেলিগ্রাম।
তবে পন্যটি বাসায় ডেলিভারি নিলে তার জন্যে চার্জ হবে।
একইভাবে আবার পন্যটিতে কোনো সমস্যা থাকলে বা মাপে না মিললে ওই মুদি দোকানের মাধ্যমেই তা সাত দিনের মধ্যে বদলে আনার ব্যবস্থা থাকছে।
ডেলিগ্রাম টেকনোলজিস লিমিটেড কোম্পানিটি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও গত বছরের আগস্ট মাসে কুমিল্লায় নতুন এই পদ্ধতিটির পাইলটিং শুরু করে। কুমিল্লায় ৪০টি দোকান দিয়ে শুরু হয় তাদের পাইলটিং। পরে জানুয়ারিতে ঢাকায় আরো ৬০টি দোকান দিয়ে দ্বিতীয় ধাপের পাইলটিং করে তারা।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দশটি প্রধান শহর এবং ঢাকায় এক হাজার দোকানকে নিজেদের নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসতে চাইছে ডেলিগ্রাম-জানান কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অইজ রহিম।
যে সব মুদি দোকান ডেলিগ্রামের সঙ্গে কাজ করছে তারা নিজেদের পন্য বিক্রি করার পাশাপাশি ডেলিগ্রামের কাছ থেকে কমিশন হিসেবেও আয় করছেন।
ডেলিগ্রাম জানাচ্ছে, এতোদিন কেবল ওয়েব প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কাজ করছেন তারা। আর তাতে করে দিনে গড়ে তিন থেকে চারশ অর্ডার এই পদ্ধতিতে ডেলিভারি করছেন তারা। তবে শুক্রবার থেকে চালু হতে যাচ্ছে তাদের মোবাইল অ্যাপ, ফলে তাদের অর্ডারের সংখ্যা দ্রুততার সঙ্গে বাড়তে শুরু করবে।
অইজ রহিম জানান, তারা দিনে ২০ থেকে ২৫ হাজার পন্যের ডেলিভারি দেওয়ার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বছরের শেষে তারা তাদের লক্ষ্যের খুব কাছাকাছি থাকবেন বলেও দাবি করেন তিনি।
এপর্যন্ত ডেলিগ্রামে প্রায় ২৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। পরের ধাপে আরো এক কোটি ডলার বিনিয়োগ নেওয়ার জন্যে কাজ শুরু করেছেন বলেও জানান অইজ রহিম।
Photo: deligram
সংবাদ নিয়ে আলোচনা