নিউজইশপ রিপোর্ট: ঢাকা ও চট্টগ্রামের শেয়ারবাজার থেকে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা উত্তোলনের জন্যে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি’কে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের অনুমেদন দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি)।
এর মধ্যে আইপিও থেকে ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কোম্পানির শেয়ার বরাদ্দের মাধ্যমে ১৩৬ কোটি ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করা হবে।
এর আগে গত ২ মার্চ বিএসইস’র কাছে অনুমোদনের জন্যে আবেদন করে দেশের দ্বিতীয় গ্রাহক সেরা মোবাইল ফোন অপরেটর রবি।
প্রথমিকভাবে বছরের শেষ দিকে গিয়ে অনুমোদনের প্রত্যাশা করলেও কিছুটা আগেই তারা অনুমোদন পেয়ে যায় বলে জানা গেছে।
১০ টাকা মূল্যের হিসেবে রবি সব মিলে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ শেয়ার ছাড়বে রবি। যার মধ্যে ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ ৪২ হাজার শেয়ার বাজারে এবং বাকিটা রবি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বরাদ্দ করা হবে। রবি কর্তৃপক্ষ খরবটি নিশ্চিত করেছে।
বিএসইসিতে রবি’র দেওয়া খসড়া প্রসপেক্টাস অনুসারে বর্তমানে অপারেটরটির পরিশোধিত মূলধন ৪ হাজার ৭১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা, যা আইপিও-পরবর্তী ৫ হাজার ২৩৮ কোটি টাকায় দাঁড়াবে। পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়বে পুঁজিবাজারে।
২০১৯ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হচ্ছে ৪ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১২ টাকা ৬৪ পয়সা।
বর্তমানে রবির মোট শেয়ারের মধ্যে অজিয়াটা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের কাছে ৬৮ দশমিক ৭ শতাংশ, ভারতী ইন্টারন্যাশনাল (সিঙ্গাপুর) পিটিই লিমিটেড ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০১৯ সালে রবির কর-পূর্ববর্তী মুনাফা ছিল ৩৭৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। যা আগের বছর ছিল ২৬৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
ওই বছর তারা ৩৬২ কোটি টাকা কর পরিশোধ করে। ফলে এ সময় তাদের নিট মুনাফা দাঁড়ায় ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা আগের বছরে ছিল ২১৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
গত ডিসেম্বর পর্যন্ত রবির মোট কার্যকর গ্রাহক আছে ৪ কোটি ৭৩ লাখ, যা দেশের মোট কার্যকর মোবাইল সংযোগের প্রায় ৩০ শতাংশ।
দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরদের মধ্যে গ্রামীণফোনের পর রবি হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় নিবন্ধিত কোম্পানি।
সংবাদ নিয়ে আলোচনা