নিউজইশপ রিপোর্ট: মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল অপারেটর ডি-মানির হাত ধরে দেশের প্রথম ইসলামিক মোবাইল ওয়ালেট চালু হয়েছে মঙ্গলবার।
এক্ষেত্রে ডি-মানি পার্টনার হিসেবে পেয়েছে আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক। নতুন এই সেবা চালুর ফলে এখন থেকে ব্যাংকটির সকল গ্রাহক ঘরে বসেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে দৈনন্দিন লেনদেন করা থেকে শুরু করে সকল রকম বিল পরিশোধ করা, অ্যাকাউন্ট পরিচালনাসহ সকল কাজই করতে পারবেন নিমিষেই।
মঙ্গলবার লা মেরিডিয়ান হোটেলে এক অনুষ্ঠানের ‘ইসলামিক ওয়ালেট’ সেবার উদ্বোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণ ফজলে কবির।
অনুষ্ঠানে ২৪টি মুসলিম দেশ থেকে আগত ইসলামিক ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বোর্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ডি-মানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরেফ আর বশির বলেন, সম্পূর্ণ ইসলামিক শরিয়াহ নীতি অবলম্বন করে নতুন এই মোবাইল ফাইন্সিয়াল সেবার মাধ্যমে গ্রাহক তার মোবাইল ফোন থেকে টাকা উত্তোলন, জমা, ট্রান্সফার ইত্যাদি লেনদেন করতে পারবেন।
তাছাড়া খুব সহজেই যে কোনো ইউটিলিটি বিল প্রদান করাসহ বিভিন্ন পরিবহনের টিকিট কেনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি প্রদান, মোবাইল ফোনে ব্যালান্স রিচার্জ করা, ইনুসরেন্স পেমেন্ট এবং নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সরাসরি অন্য লেনদেনও করতে পারবেন।
গভর্নর তার বক্তৃতায় বলেন, দেশে এখন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবার সাড়ে সাত কোটি অ্যাকউন্ট রয়েছে-এটি খুবই বড় একটা অর্জন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সেবার ক্ষেত্রে প্রচলিত অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর চেয়ে ইসলামী ব্যাংকগুলো একটু পিছিয়ে আছে। আশা করি এই ‘ইসলামিক ওয়ালেট’ চালুর মাধ্যমে সেই বাঁধা দূর হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, দেশে এখন ১৬টি ব্যাংকের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা আছে। তবে তার মধ্যেও বিকাশ-এর পর রকেট ছাড়া আর কেউ তেমন ভালো অবস্থান পায়নি।
বাংলাদেশে ব্যাংকের হিসেব অনুসারে অক্টোবরের শেষে এমএফএস অ্যাকেউন্টের সংখ্যা সাত কোটি ৭৪ লাখ পেরুলেও এর মধ্যে প্রায় ৬৩ শতাংশ অ্যাকাউন্ট নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে আছে।
শেষ হওয়া এই মাসে এমএফএস-এ ৭৩ লাখ ৩০ হাজার ৫৪১টি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার ২১৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা আদান-প্রদান হয়েছে। একই সময়ে এই খাতে কাজ করা এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৫৪ হাজার ২৯০ জন।
সংবাদ নিয়ে আলোচনা