নিউজইশপ রিপোর্ট: অনলাইন শপিংকে আরো আকর্ষণীয় করতে রাজধানীতে এক দিনের মধ্যে ডেলিভারি চালু করেছে দেশের অন্যতম প্রধান ডেলিভারি কোম্পানি ইকুরিয়ার।
বিষয়টির ওপর তারা এমনই গুরুত্ব দিচ্ছে যে রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে বলছে, ‘সার্ভিস গ্যারান্টি দিচ্ছি, ডেলিভারি টাইমলি না হলে কোন চার্জ করবো না !’
বুধবার থেকে রাজধানীতে এই অভিনব সেবাটি চালু করেছে ইকুরিয়ার।
ই-কুরিয়ার বলছে, অনলাইন সেলার এবং কাস্টমার দুই জনেরই প্রধান সমস্যা হল সময়। সেলারের পণ্য দ্রুত ডেলিভারি করতে চায় এবং কাস্টমার পণ্য কেনার সাথে সাথেই তা পেতে চায়। আর সে কারণেই তাই ইকুরিয়ার বাংলাদেশে এই প্রথম গ্যারান্টিড সেইম ডে ডেলিভেরি শুরু করল।
কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিপ্লব জি রাহুল এ বিষয়ে বলেন, তারা যদি রাত বারোটার মধ্যেও পার্সেল পেয়ে যান তাহলেও পরদিন সন্ধ্যা ছয়টার আগে ক্রেতার কাছে তা পৌঁছে দেবেন।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে ট্রাফিক জ্যাম অত্যন্ত বড় একটি চ্যালেঞ্জ। আর এটিই অনলাইন শপিং এবং পার্সেল ডেলিভারি ব্যবসার জন্যে সম্ভাবণার। কারণ মানুষ মার্কেটে কম যেতে চাইবে এবং তারা অনলাইনেই কেনাকাটার জন্যে ছুটবে।
এদিকে এক দিনে ডেলিভারির প্রবর্তণ করার আগে গত সোমবার দেশে প্রথবারের মতো এক দিনে দশ হাজার পার্সেল প্রসেস করার অনন্য এক মাইলফলক অর্জন করেছে ইকুরিয়ার।
সে বিষয়ে রাহুল বলেন, তাদের জানা মতে বাংলাদেশে আর কোম্পানি একদিনে ই-কমার্সের দশ হাজার পার্সেল প্রসেস করার মাইলফলক অর্জন করতে পারেনি।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে যখন ই-কুরিয়ারের শুরু হয় তখন প্রথম দিনে তারা সব মিলে ১৭টি পার্সেল প্রসেস করেছিলেন। কিন্তু সোমবার তারা ১০,০০০ পার্সেলের ল্যান্ডমার্ক অতিক্রম করেন।
এখন প্রায় প্রতিদিনিই ইকুরিয়ারের কর্মীরা ঘণ্টায় ৩০০ থেকে ৩৫০ পার্সেল বুকিং করছেন। রাতে যা আরো বেড়ে যায়।
রাহুল জানান, এক সময় তাদের টার্গেট ছিল ৩০০ ডেলিভারি, তারপরও এক হাজার, এরপর দুই হাজার, তিন হাজার। আর এখন তারা দশ হাজারও পেরিয়ে গেলেন। সুতরাং সামনের দিনে আরো বড় লক্ষ্য ঠিক করে মাঠে নাছেন তারা।
দেশে এখন সাধারণ সময়ে সব মিলে দিনে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার পন্যের ডেলিভারি হয়। ঈদের আগে এসে এটি দিনে ৪০ থেকে ৫০ হাজারে চলে আসে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আর একদিনের মধ্যে ডেলিভারি এই অংককে আরো অনেক বাড়িয়ে দেবে নিঃসন্দেহে।
সংবাদ নিয়ে আলোচনা